আমাদের দেশে কৃষি উন্নয়নের ধারা দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে। অসংখ্য তরুন তরুনী বেকারত্বের গ্লানিকে বিদায় দিয়ে হয়ে উঠছে আত্বনির্ভশীল। এসব তরুন উদ্যোক্তারা আধুনিক বা স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি গুলোকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলছে বিভিন্ন কৃষি ফার্ম। এসব ফার্মের মধ্যে সবথেকে নির্ভরশীল সেক্টর হলো গরুর খামার করা। সাধারনত গরুর দুগ্ধ উৎপাদন, গরু মোটাতাজা করন ও বাছুর পালন এই ৩ ধরনের খামারই বেশি দেখা যায়। আর এসবের মধ্যে গরুর দুধ উৎপাদনের খামাড়ের সংখ্যাই সবথেকে বেশি।
দুধ উৎপাদনের খামারে লাভ কেমন
লাভের দিক বিবেচনা করলে বর্তমানে অধিক দুধ উৎপাদনশীল জাত যেমন হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাত গুলোতে অল্প খরচে বেশি মুনাফা। এ জাতের গরু থেকে প্রতিদিন ১৫-৪০ কেজি পর্যন্ত দুধ পাওয়া যায়। আর এসব জাতের গরুর প্রজনন পদ্ধতিও অনেক সহজলভ্য। তবে এসব গাভী গরুর খামার স্থাপনের সময় অবশ্যই উন্নত জাতের ঘাসের উৎপাদনও রাখতে হবে। কেননা এসব গরুর ৮০% খাবার কাঁচা ঘাস দিলে দুধের পরিমান অনেক বেড়ে যায়।
গরুর দুধ দোহন পদ্ধতি
আমাদের দেশে সাধারনত সেই আদিকাল হতেই হাতের সাহায্যে গরুর দুধ দোহন করা হয়ে থাকে। গরুর ওলানের নিচে বালটি রেখে তেলের সাহায্যে দুধের বাটগুলোকে পিচ্ছিল করে নিয়ে টেনে টেনে ২ টি করে বাটের দুধ নামানো হয়। এক্ষেত্রে ২ হাতের মোট ৪-৬ টি আঙ্গুল ব্যবহার হয়ে থাকে। আর বড় বড় ফার্ম গুলোতে বিদ্যুৎ চালিত গরুর দুধ দোহন মেশিনের ব্যবহার দেখা যায়। হাত দিয়ে দুধ দোহন করলে অনেক সমস্যার সম্মূখীন হতে হয়।
হাতে দুধ দোহনের অসুবিধা সমূহ
হাত দ্বারা দুধ দোহনের কারনে আমরা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকি। এই সমস্যা গুলো হলো-
- দুধ দোহনে সময় বেশি লাগে।
- সময়মত লোকবল পাওয়া যায় না।
- সম্পূর্নরুপে দোহন করা যায় না, ওলানে অনেকটা দুধ থেকে যায়।
- হাত ব্যাথা হয়ে যায়।
- অনেক সময় গরু লাথি মেরে দূর্ঘটনার সৃষ্টি করে।
- একের অধিক গরু থাকলে দোহন করতে অনেক সময় লাগে।
- দুধ দোহন কালে সঠিকভাবে সংরক্ষন করা যায় না।
মেশিনে দুধ দোহনের সুবিধা সমূহঃ
আধুনিক এই স্মার্ট যুগে কৃষি সেক্টরে শ্রমিক সংকট অধিক হাড়ে দেখা দিয়েছে। আর এসব সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা আধুনিক কৃষি যান্ত্রীকিকরনে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। গরুর ফার্মের ক্ষেত্রেও মেশিনারিজের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এখন প্রান্তিক পর্যায়েও গরুর দুধ দোহন মেশিন ব্যবহার হচ্ছে। গরুর দুধ দোহন মেশিন ব্যবহারের সুবিধা সমূহ হলো –
- অল্প সময়ে দুধ দোহন করা যায়।
- সম্পূর্ন রুপে দোহন করা যায়।
- শারিরিক কোন কষ্ঠ হয় না।
- একা একাই দোহন করা যায়।
- বিদ্যুৎ না থাকলে ব্যাটারি দিয়ে চালানো যায়।